তৃণমূলের সভামঞ্চে ফের চাঁচাছোলা সুজাতা : নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী

30th December 2020 10:23 pm বর্ধমান
তৃণমূলের সভামঞ্চে ফের চাঁচাছোলা সুজাতা : নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের মোকাবিলায় এখন তৃণমূলের তুরুপের তাস সুজাতা খাঁ মণ্ডল ।একের পর এক তৃণমূলের সভায় যোগদিয়ে সুজাতা খাঁ আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর  স্বামী অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার  সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে । বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়ায়  আয়োজিত সভাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি মুকুল রায় কয়েকদিন আগে সাতগেছিয়ার যে মাঠে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন এদিন সেই মাঠেই  জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল । সেই সভায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে  ছিলেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুজাতা খাঁ । সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে সুজাতা প্রথম থেকেই ছিলেন আক্রমণের মুডে।এদিন নিজের স্বামী সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী ও অন্য বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন । রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সবাপতি স্বপন দেবনাথকে পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে সুজাতা এদিন  বলেন , শুভেন্দু ও তাঁর পরিবার ১০ বছর ধরে ক্ষমতা ভোগ করেছে।অনেক পদ অাঁকড়ে বসেছিলেন  শুভেন্দু । তারপরেও  মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না বুঝে উনি এখন  বিজেপিতে ঝাঁপ মেরেছেন।এখন আবার উনি বলছেন
,‘হরেকৃষ্ণ হরে হরে; বিজেপি ঘরে ঘরে। ’ সভামঞ্চ থেকে  পাল্টা শ্লোগান তুলে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে সুজাতা খাঁ বলেন ,‘তোমার ঘরেই তো তৃণমূল আছে ভরে ভরে’।একই সঙ্গে সুজাতা দাবি করেন , ‘বিজেপির খানে কা দাঁত আর দিখানে কা দাঁত আলাদা।’তা না হলে কি করে একজন সাংসদ তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবার কথা ঘোষণা করলেন।এই প্রসঙ্গ সামনে এনে  সুজাতা খাঁ বলেন , বিজেপিতে নারীদের কোন সন্মান নেই বলেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন । সারদা, নারদার মত কেলেঙ্কারির সাথে যুক্তরা এখন বিজেপিতে গিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। বিজেপি এই রাজ্যে যদি ক্ষমতায় অসে তাহলে বাংলার মেয়েদের সম্মান বলে আর কিছু থাকবেনা। এই কথা বলে সুজাতা জনসায় উপস্থিত সবাইকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করার  আহ্বান জানান । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।